1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘বিএনপি রূপরেখা দিলে শেখ হাসিনা এখনও বিবেচনা করবেন'

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিএনপি ও দলটির নেতৃত্বাধীন জোট কোন প্রস্তাব দিলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তা বিবেচনা করতে পারেন বলে মনে করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন৷

ছবি: DW

‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ ইউটিউব টকশোতে এসে এমন কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের এই নেতা৷ গত নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি স্বীকার করেন নির্বাচনে প্রশাসন বাড়াবাড়ি করেছিল৷ তিনি বলেন, ‘‘একটা লেজেগোবরে অবস্থায় এই নির্বাচনটি হয়েছিল৷ তাতে অধিকাংশ নির্বাচনি জায়গায় এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি যার জন্য আপনি এই নির্বাচনকে অবৈধ নির্বাচন বলতে পারেন৷''

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বিদায়ী নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বলেন, ‘‘তারা নির্বাচনকালীন কোনো অভিযোগেরই প্রতিকার করেনি৷’’

‘‘এই নির্বাচন কমিশন রোবটের মতো কাজ করেছে, যার কোন বোধ শক্তি ছিল না,’’ বলেন গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হওয়া এই সংসদ সদস্য৷

এরইমধ্যে সরকার আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে৷ এই সংক্রান্ত আইন পাস হয়েছে সংসদে৷ চলছে সার্চ কমিটির মাধ্যমে কমিশনার খোঁজার কাজও৷ সার্চ কমিটির কাছে আওয়ামী লীগ কোনো নাম প্রস্তাব না করলেও জোটের শরীক দলগুলোর মাধ্যমে নিজেদের পছন্দের নাম দিচ্ছে বলে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হলেও সেই খবর অস্বীকার করেছেন রাশেদ খান মেনন৷ তিনি বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগের তরফ থেকে আমাদের দলের কাছে থেকে কোনো নাম প্রস্তাব করা হয়নি৷ আমাদের শরীক হাসানুল হক ইনুর কাছে আপনি জিজ্ঞাসা করবেন তাদের কাছেও কোনো নাম প্রস্তাব করা হয়েছে বলে আমার জানা নেই৷ ...আমার জানামতে অধিকাংশই এমন কোনো নামের সঙ্গে যুক্ত ছিল না৷’’

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া ও বর্তমান সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন নিয়ে বরাবরই অনাস্থা প্রকাশ করে আসছে বিএনপিসহ তার সমমনা দলগুলো৷ নির্বাচনকালীন নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের দাবি তাদের৷ এই বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মেনন বলেন, ‘‘শেখ হাসিনা যখন ২০১৪ সালের নির্বাচন করেন তখন সমঝোতার স্বার্থে এবং বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এমনকি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দেওয়ার জন্য প্রস্তাবও দিয়েছিলেন৷’’ এমন প্রস্তাব একবারের জন্যই কীনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘রুপরেখা দিক না তারা৷’’

১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনীর সময়কার প্রসঙ্গ তুলে বামপন্থি এই রাজনীতিবিদ বলেন, ‘‘যখন সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনী হয় আমরা এই প্রস্তাবগুলো নিয়ে এসেছিলাম৷ বিএনপি সেদিন রাজি হয়নি তার ফল আমরাও ভোগ করেছি, তারাও করছে৷ ...তারা যদি কোনো প্রস্তাব দেয় তখন সেগুলো নিয়ে শেখ হাসিনা আগেও যেমন করেছেন এখনও তিনি হয়ত বিবেচনা করবেন৷ কেন করবেন না? অতীতে তো করেছেন তিনি৷’’

পাশাপাশি তিনি মনে করেন, নির্বাচনকালীন সরকারের দাবি পূরণে বিএনপি ও তার জোটের দলগুলোকে গণআন্দোলন গড়তে হবে৷ এই বিষয়ে তার সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছেন ২০ দলীর জোটের অন্তর্ভুক্ত কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মে. জে. (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক৷ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘জনগণ সাথে আছে কীনা..এটা নির্ভর করবে ২০ দলীয় জোটের উপরে বা আরো যদি জোট হয় বা আরো যদি একা কেউ থাকে ওনাদের দক্ষতার উপরে৷’’

তার মতে, ‘‘আমরা যদি ছল বলে কৌশলে ...দৃশ্যমান আন্দোলন বা অদৃশ্যমান আন্দোলন করে যদি সরকারকে বাধ্য করতে না পারি তাহলে যা হবার তাই হবে৷’’

এফএস/এআই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ