1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে টানা তাপপ্রবাহের মধ্যে স্কুল বন্ধ, চলছে লোডশেডিং

৭ জুন ২০২৩

গত অর্ধশতকের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ তাপপ্রবাহ সামলাতে কয়েক হাজার বিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ৷ বিদ্যুতের তীব্র সংকট পরিস্থিতি আরো নাজুক করে তুলেছে৷

দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকছে৷ এর ফলে সবচেয়ে বেশি ভুগছে গরিব মানুষ৷
তাপপ্রবাহে অস্থির বাংলাদেশ (ফাইল ফটো)ছবি: Rehman Asad/NurPhoto/IMAGO

দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকছে৷ এর ফলে সবচেয়ে বেশি ভুগছে গরিব মানুষ৷

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা বজলুর রশীদ এই বিষয়ে বলেন, ‘‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এত দীর্ঘ তাপপ্রবাহ আমরা আর দেখিনি৷''

পরিস্থিতি সামলাতে হাজার হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ যদিও দেশটিতে এখন শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং ফ্যানের চাহিদা বাড়ছে, কিন্তু সরকার বিদ্যুতের উৎপাদন নাটকীয়ভাবে কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে৷ 

শেখ হাসিনা সরকার প্রয়োজনীয় কয়লার সরবরাহ নিশ্চিত করতে না পারায় দেশটির সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি সোমবার বন্ধ হয়ে গেছে৷ 

বাংলাদেশের টাকার মান গত বছর ডলারের বিপরীতে ২৫ শতাংশের মতো নেমে গেছে৷ ফলে জ্বালানি আমদানি এবং অন্যান্য পাওয়ার ইউটিলিটির খরচ বেড়ে গেছে৷ চালু থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোও চাহিদামতো উৎপাদন করতে না পারায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে  না দেশের নানা এলাকায়৷   

গৃহিনী তানিয়া আক্তার জানান, তার সবচেয়ে ছোট সন্তান বিদ্যালয়ে যাচ্ছে না, কারণ, এখন স্কুল বন্ধ রয়েছে৷ তবে ১২ বছর বয়সি কন্যাকে এখনো যেতে হচ্ছে৷

তানিয়া আক্তার আরো বলেন, ‘‘তাদের ক্লাসও বাতিল করা উচিত, কারণ, গরমে শিক্ষার্থীরা অনেক ভুগছে৷ তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে৷''

তাপপ্রবাহের শুরু এপ্রিল মাসে৷ মে মাসের শুরু অবধি সেটা চলার পর কিছুদিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল৷ গতমাসের শেষের দিকে আবার তাপমাত্রা বাড়তে থাকে৷ আবহাওয়া পূর্বাভাষ জানাচ্ছে যে, চলতি সপ্তাহের শেষ অবধি পরিস্থিতি এরকম থাকতে পারে৷  

‘‘প্রতি গ্রীষ্মেই বাংলাদেশে তাপপ্রবাহ দেখা যায়, তবে এ বছরের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক৷ তাপপ্রবাহ সাধারণত কয়েকদিন বা এক সপ্তাহ স্থায়ী হয়৷ কিন্তু এ বছর তা দুই সপ্তাহ বা আরো বেশি সময় ধরে চলছে,'' বলেন রশীদ৷

‘ওয়ার্ল্ড ওয়েদার অ্যাট্রিবিউশন' নামের একটি গ্রুপের গবেষণা অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ, ভারত, লাওস এবং থাইল্যান্ডে তাপপ্রবাহের ব্যাপ্তি বেড়ে গেছে৷ 

গত ৩ জুন দিনাজপুরে তাপমাত্রা ৪১.৩ ডিগ্রি ছুঁয়েছিল, যা ১৯৫৮ সাল থেকে এখন অবধি সর্বোচ্চ৷

‘‘অতীতে তাপপ্রবাহ শুধু দেশের কিছু অঞ্চলে দেখা যেতো৷ কিন্তু এ বছর তা অত্যন্ত বিস্তৃত এবং দেশের প্রায় সব অংশেই অনুভূত হচ্ছে,'' বলেন রশীদ৷  

দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ব বিদ্যুৎ কোম্পানির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, কিছু প্রত্যন্ত জেলায় দিনে ছয় থেকে দশঘণ্টা অবধি বিদ্যুৎ থাকছে না৷

দিনমজুর এবং রাস্তায় পণ্য বিক্রি করা বিক্রেতাদের সবচেয়ে বেশি ভোগাচ্ছে এই তাপপ্রবাহ৷ কারণ, সূর্যের প্রখর রোদে তাদের কাজ করতে হচ্ছে৷ তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে যারা বাসায় থাকছেন, তাদের অনেকের আয় কমে গেছে৷

রিকশাচালাক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘‘আমার আয় বেশ কমে গেছে৷ আমি দিনে অন্তত ২০ থেকে ৩০টি ট্রিপ দিতাম৷ এখন তা কমে ১০-১৫টিতে নেমে গেছে৷ এই গরমে স্বাস্থ্যের কারণে এরচেয়ে বেশি কাজ করতে পারছি না৷''

এআই/এসিবি (এএফপি)

ড্যাটা রিপোর্ট: বাড়ছে পোশাক উৎপাদন, নামছে পানির স্তর

07:25

This browser does not support the video element.

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ